আমি ওকে একটুও ঠকাইনি তবে সে আমাকে ঠকিয়েছে

Sad Love Story in Bangla – বিয়ের ২০ দিন যেতে না যেতেই, মেয়েটার মাথা ঘুরানি আর বমি ভাব দেখে আমি অবাক হই নি। 

বরং অবাক হয়েছে আমার গোটা পরিবার। 

অবশেষে পরিবারের চাপে পড়ে নিয়ে গেলাম ,ডক্টরের কাছে। 

চেকআপ করে সত্যটা প্রকাশ হলো। 

আমি বাচ্চার বাবা হতে চলেছি। 

যেখানে আমার খুশি হওয়ার কথা।

সেখানে আমি নারাজ। 

মেয়েটাকে বাসায় নিয়ে আসলাম। 

মেয়েটার চোখে চোখ দেখে জানতে চাইলাম। 

সত্যি কি, এ বাচ্চার বাবা আমি। 

মেয়েটা চুপ করে আছে। 

কোন উত্তর নেই, মাথায় হাত বুলিয়ে সাহস দিলাম। 

ভয় পেয়ো না। 

আমি তোমাকে ত্যাগ করবো না। 

শুধু একজন পুরুষ হয়ে,সেই পুরুষ কে ধিক্কার জানাবো।

যে আমার স্বপ্নটা পূরণ হতে দেয়নি।

মেয়েটার চোখ দিয়ে শুধু পানি ঝরছে। 

>>> 💘 Sad Love Story in Bangla – সে আমাকে ঠকিয়েছে – ভালোবাসার কষ্টের গল্প <<<

কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি উঠে গেছে তার। 

কান্নার আওয়াজ আমার অন্তর ভেঙ্গে খান খান করে দিচ্ছে। 

আমার উত্তর পেয়ে গেছি। 

তবুও তাকে দোষ দেইনি।

ভাগ্য বলে, চালিয়ে নিলাম। 

এতটাই ভালবাসি যে,ছুঁড়ে ফেলতে পারলাম না। 

আমি পরিবার থেকে বঞ্চিত হলাম। 

অন্য অফিসে বদলি হলাম। 

মেয়েটা কেমন যেন বোবা হয়ে গেছে। 

বাসায় একা একা মন মরা হয়ে থাকে সারাক্ষণ। 

কোন কথা বলে না। 

হঠাৎ এক গভীর রাতে হু হু করে কেঁদে উঠেছে। 

আমি চমকে গেলাম।

জেগে দেখি মেয়েটা আমার বুকের উপর মাথা রেখে, 

চোখের পানিতে আমার গেঞ্জি ভিজিয়ে ফেলেছে।

চোখ মুছে দিয়ে আবার বুকে জড়িয়ে নিলাম। 

ভালোবাসার কষ্টের গল্প

আমি ওকে একটু ঠকাইনি। 

তবে সে আমাকে ঠকিয়েছে।

এটাই তার দুঃখ।

তবে ব্যাপার না, আমি এই বাচ্চাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম। 

বিয়ের বয়স ৮মাস হতেই, বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হলো।  

দুঃখের বিষয়, বাচ্চাটা হলো মরা। 

মেয়েটার জ্ঞান ফেরার পর, যখন জানতে পারল বাচ্চাটা মারা গেছে।

সে তখন গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে আমাকে ডাক দিয়েই আবার বেহুঁশ হয়ে গেল। 

তারপর থেকে মেয়েটার কথা বলতে পারেনা।

heart touching sad love story in bangl

এখনো দুজন দুজনকে পাগলের মতো ভালোবাসি।

বিয়ের বয়স আজ ৪ বছর। 

বাবা হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। 

তবুও সারাদিন পরিশ্রম শেষে, যখন ডিম লাইটের আলো নিভিয়ে মেয়েটা আমার বুকের অপর মাথা রাখে। 

বিশ্বাস করুন, আমি তখন স্বর্গে ছোঁয়া পাই। 

ভালো থাকুক,ভালোবাসা। 

ভালো থাকুক, ভালোবাসার মানুষগুলো।

Comments